শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:০৭ পিএম, ২০২০-১০-২৪
গত ১৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে দেশের যোগাযোগ ও যাতায়াত সেক্টরের প্রথম ও একমাত্র বিষয় ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল “প্যাসেঞ্জার ভয়েস ডটনেটে “ সীতাকুণ্ড টেম্পু মালিক সমিতির নেতার কান্ড। পুলিশের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইমন, একেখান-জিইসি রুটে চলে অবৈধ অটোটেম্পু” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদটির চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড টেম্পু মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওহাব বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর প্যাসেঞ্জার ভয়েস ডট নেট এর সম্পাদক বরাবর পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে সংগঠনটির নেতারা উল্লেখ করেন রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন ৭০ টি অটোটেম্পু চলাচল করছে বিষয়টি সঠিক নয়। এছাড়াও সকল বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও এই নেতার নামে আকবরশাহ, খুলশী ও পাঁচলাইশ থানার টিআইদের ছত্রছায়ায় এই নেতার নামে গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হয়। বিষয়টির সারমর্ম না বুঝে মনগড়া ও দায়সারাভাবে পুলিশ বাহিনীর নাম ব্যবহার করে পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন মালিক সমিতির নেতা ইমন। এমন বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সংবাদটি ছাঁপিয়েছেন।
আসল তথ্যটি হলো রবিন মোটর্সের স্বত্বাধিকারী ইমাম উদ্দীন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড অটোটেম্পু মালিক সমিতির রেজি নং-১৪২৬ এর নির্বাচিত যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং সুদীর্ঘ ২০ বছর যাবত সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক কে বা কাহারা রবিন মোটর্সের ব্যবসায়িক পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৩৮ টি গাড়ি বিআরটিএর আইএস সফটওয়ারে রুট পারমিট ও ফিটনেস হালনাগাদ আছে ফলে ফিটনেস বিহীন ও রুট পারমিট ছাড়া গাড়ী চলাচলের তথ্যটি সঠিক নয়। তাছাড়া পুলিশের নামে মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা তোলার ব্যাপারটি অত্যন্ত আপত্তিকর এবং দৃষ্টিকটুও বটে। তাই আমরা এ সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে বিআরটিএর পারমিট শাখা থেকে চট্টমেট্রো আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির অনুমোদিত ১১ নং রুটে অটোটেম্পু চলাচলের রুটের তথ্য নেওয়া হয়। আরটিসির অনুমোদিত রুট নগরীর আল মাস সিনেমা-ওয়াসার মোড়-গরিবুল্লাহশাহ মাজার-ফয়েজ লেক– একে খান মোড়-কর্নেল হাট-সিডিএ পর্যন্ত, ফেরত ও একই রুটে। অথচ গাড়িগুলো চলছে একে খান-ফয়েজ লেক-খুলশি হয়ে জিইসির মোড় পর্যন্ত অর্থাৎ রুট কমপ্লিট না করে অন্যরুট ব্যবহার করছে। যা বিআরটিএর ভাষায় পারমিটের শর্ত ভঙ্গ। এই বিষয়ে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৭৭ নং ধারা সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। আইন অমান্য করে এই রুটে গাড়ি গুলো কিভাবে চলে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড টেম্পু মালিক সমিতি তাদের প্রতিবাদে সেটা উল্লেখ করেনি।
এছাড়া ইমাম উদ্দিন ইমনের পরিচালিত চট্টমেট্রো-ফ-১১-২৬৭৭, চট্টমেট্রো-ফ-১১-১৬০৬, চট্টমেট্রো-ফ-১১-২৪৫৪, চট্টমেট্রো-ফ-১১-২৭৮২, চট্টমেট্রো-ফ-১১-২৫৮০, চট্টমেট্রো-ফ-১১-২৫৮১ নং গাড়ির তিনি বৈধ মালিক দাবী করলে বিষয়টির সত্যতা জানতে বিআরটিএর আইএস সফটওয়্যারে দেখা হয় সেখানে ইমাম উদ্দিন ইমনের নামে কোন গাড়ীর নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবাদলিপিতে ১ নং কলামে মালিক সমিতি দাবী করেছেন প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৩৮টি গাড়ির বিআরটিএর আইএস সফটওয়্যারে রুট পারমিট ও ফিটনেস হালনাগাদ আছে। তবে ২ নং কলামে মালিক সমিতি বলেছেন ৩৮টি গাড়ির মধ্যে এমন কিছু টেম্পুর নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে যা চট্টগ্রাম শহরে কোন অস্থিত্ব নেই। এবং এই গাড়ি গুলো ১১ নং রুটের পারমিট আছে এমন তথ্য তাঁহারাও নিশ্চিত করেননি। বিষয়টি বিআরটিএর কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয়। বিআরটিএ এই গাড়ি গুলোর ১১ নং রুটের পারমিট আছে এমন তথ্য দিতে পারেনি। ফলে প্রতিবেদনে উল্লেখিত গাড়ি গুলোর ১১ নং রুটে চলাচলের পারমিট না থাকার সত্যতা পাওয়া যায়।
৩ নং কলামে সকল বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও এই নেতার নামে আকবরশাহ, খুলশী ও পাঁচলাইশ থানার টিআইদের ছত্রছায়ায় এই নেতার নামে গাড়ি প্রতি চাঁদা দিতে হয়। এ বিষয়ে মালিক সমিতি দাবী করেছেন প্রতিবেদক ও অনলাইন পত্রিকার সংশ্লিষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহল ট্রাফিক পুলিশ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করতে তৎপর। এই বিষয়ে প্রতিবেদকের মোবাইলের কল লিষ্ট প্যাসেঞ্জার ভয়েসের অফিসে সংরক্ষণ করা আছে এতে কোন ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা বলার কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র বিষয়টি জানতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মহোদয়ের সাথে কথা বলেছে যা নিউজে উল্লেখ ছিল।
এছাড়া সংবাদটি প্রকাশের সময় ১১ নং রুটের বিভিন্ন অটোটেম্পু চালক ও মালিকের সাথে কথা বলে তথ্য গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। রবিন মোটরর্সের কর্ণধার ইমাম উদ্দিন ইমন ও ট্রাফিক পুলিশ শীর্ষ কর্মকর্তার মতামতও নেওয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত